1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে বাঘাইছড়িতে প্রবেশ করেতে গিয়ে দূর্ভোগে শত মানুষ - আলোকিত খাগড়াছড়ি

প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে বাঘাইছড়িতে প্রবেশ করেতে গিয়ে দূর্ভোগে শত মানুষ

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে রাতে ও দিনে নানান উপায় প্রবেশ করছে শত শত মানুষ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে নানা দুর্ভোগের সিকার হচ্ছেন তারা।
১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার কাচালং বাজার কাঠের ডিপু এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্রগ্রাম থেকে আশা শতাধিক নারী পুরুষ জড়ো হয়েছেন সিএনজি, মোটর সাইকেল, জীপ গাড়ী কেউবা আবার হেটেই অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এখানে জড়ো হয়েছেন। অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী তাদের নাম ঠিকানা নোট করে রাখলেও নেই কোন জিবানুনাশক ব্যবস্থা। এসময় উপজেলার খেদারমারা ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, ও রুপকারী ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল চাকমা তাদের রিসিভ করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ এলাকায় । এসময় নিজের বাড়ীতে ফিরতে দুর্ভোগের কারনে  অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখাযায়।
রুপকারী ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল চাকমা বলেন, এলাকার লোকজনকে তো আর ফেলে দিতে পারবো না। তাদের এলাকায় নিয়ে ১৪ দিনের হোমকোয়ারাইন্টিন নিশ্চিত করা হবে। তবে আমি প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করবো অন্তত ২ দিন তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য যারা আটকা পড়েছে তারা যেন নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারে। না হয় কষ্ট পেয়ে না খেয়ে মরবে সবাই।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, যারা ইতোমধ্যে বাঘাইছড়ি প্রবেশ করেছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিজ নিজ ইউনিয়নে ১৪ দিন হোমকোয়ারাইন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নিয়মিত তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই মূহুর্ত্বে নতুন করে আর কাউকে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, প্রশাসনকে আরো কঠোর ও নজর দারী বাড়াতে হবে দুরপাল্লার গাড়ী ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও এতলোক বাঘাইছড়ি কি করে প্রবেশ করে। চট্রগ্রাম খাগড়াছড়ি পার হয়ে যারা চলেই এসেছে তাদের হোমকোয়ারাইন্টিন নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে এভাবে জনস্রোত ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ কেউ হিমশীম খেতে দেখা গেছে। স্থানীয়রাও উৎকন্ঠায় রয়েছে। বাহিরে অবস্থান করা অনেক পরিবারের সদস্যরা বলছেন চট্রগ্রামে করোনা পরিবেশ এখনো সহনশীল পর্যায়ে আছে তাই সেখানে আটকা পড়া লোকদের সময় বেধে দিয়ে বাড়ী ফিরার সুযোগ দেয়ার, নাহয় আটকা পড়া লোকদের দুর্ভোগের শেষ থাকবেনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ